নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়ন নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু তাহের (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত আবু তাহের উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের মৃধা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, চরকিং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ১৭ এপ্রিল দুপুরে বিজয়ী প্রার্থী মহিউদ্দিনের সমর্থকরা স্থানীয় মৃধা গ্রামে বিদ্রোহী পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহিনের আনারস প্রতীকের সমর্থক ওমর ফারুকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বসতঘর হামলা-ভাঙচুর ও রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
এ সময় দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জনকে আহত করে। এতে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত আবু তাহের (৬৫), রাশেল উদ্দিন (৩০), ওমর ফারুক (৩৫) ও শামীম উদ্দিনকে (১৬) প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু তাহের বুধবার সকালে মারা যান।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনী পূর্ব বিরোধের জের ধরে নৌকার সমর্থকরা আনারসের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এতে আবু তাহের সহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে বুধবার সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢাকা থেকে তার মৃতদেহ আনা হচ্ছে। পরবর্তীতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এব্যাপারে হাতিয়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন