কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন তার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো.ইব্রাহিম।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে গ্রামে গিয়ে তনুর চাচাতো ভাই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মিনহাজের সাথে তিনি কথা বলেন।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেছেন, সোমবার সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়িয়া ভাতিজার সাথে কথা বলেছেন। তনুর মৃত্যুর দিন সে আমাদের বাসায় ছিলো। মামলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, এগুলো নিয়ে আর কি বলবো! মেয়েকে হারিয়েছি। মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলে মনে শান্তি পেতাম। আমি আল্লাহর নিকট বিচার দিয়ে রেখেছি, আল্লাহ বিচার করবেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিমের বক্তব্য জানার জন্য তার ফোনে একাধিক চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকট থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করেন তার বাবা ইয়ার হোসেন। পরদিন ২১মার্চ দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। ২১ মার্চ তনুর বাবা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলা পুলিশ,ডিবি হয়ে সিআইডির হাতে যায়। ছায়া তদন্ত করে র্যাব ও পিবিআই। প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ২য় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। তনুর মৃত্যুর ৫০দিনেও হত্যাকারী শনাক্ত হয়নি। এদিকে ২য় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ৩৯ দিনেও পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন