বাল্য বিবাহের দায়ে দিনাজপুরের বিরলের রাণীপুকুর ইউপি'র বিবাহ রেজিষ্টার (কাজী) শামীম রেজা ও নাবালিকা কন্যার মা মরিয়ম বেগমের এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল খায়রুম।
বর রেজাউলকে না পাওয়ায় বরের পিতা আজগার আলীকে থানা হাজতে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। সোমবার এ রায় দেন ভ্রাম্যমান আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক।
জানা গেছে, উপজেলার রাণীপুকুর ইউপি'র রঘুদেবপুর (কাঁঠালডাঙ্গী) গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর এর ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা আরমিনা আকতারের সাথে রাণীপুকুর গ্রামের ভ্যানচালক আজগার আলীর এক সন্তানের জনক পুত্র রেজাউল ইসলাম (৪০) এর কোর্ট এফিডেভিট এর মাধ্যমে ও পরে কাজীর মাধ্যমে গত শুক্রবার বাল্য বিবাহ হয়। রেজাউল ইসলামের স্ত্রী কয়েক মাস পূর্বে অন্যত্র সম্পর্ক করে পালিয়ে বিবাহ করায় বর্তমানে বহবলদিঘী (টিনপাড়া) নিবাসী রেজাউল একই এলাকার ঘটক মতিউর রহমানের মাধ্যমে আরমিনার সাথে দ্বিতীয় বিবাহের আয়োজন করেন। সংবাদ পেয়ে বিরল থানার এসআই নুরুজ্জমান ও এএসআই আব্দুর রহমান উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্সসহ নাবালিকা কন্যা আরমিনা আকতার, মা মরিয়ম বেগম, বরের পিতা ভ্যানচালক আজগার আলী, রাণীপুকুর ইউনিয়নের বিবাহ রেজিষ্টার শামীম রেজাকে আটক করে রবিবার সন্ধ্যায় বিরল থানায় নিয়ে আসেন। বর রেজাউল ইসলাম (৪০) পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মগোপনে আছেন।
সোমবার পুলিশ তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের নিকট হাজির করলে আদালত নাবালিকা কন্যার মা মরিয়ম বেগম ও কাজী শামীম রেজাকে এক মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
নাবালিকা কন্যাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার ও বরের পিতাকে বর বেজাউলকে না পাওয়া পর্যন্ত থানা হাজতে আটক রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ