কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকায় মতিউর রহমান কাবুল (৩২) হত্যা মামলায় ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার এ আদেশ দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহাম্মদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার জগপুর গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে আলী আশরাফ, বজলের রহমানের ছেলে নজির আহম্মদ (পলাতক), সরাফত আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (শিশু মিয়া) ও আব্দুর রাজ্জাক, মতু মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া, মৃত আছলাম মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া, সিরাজুল ইসলাম (শিশু মিয়া) এর ছেলে মোহাম্মদ আলী, চান মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া, মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে দৌলত আহম্মদ, জয়নগর গুচ্ছ গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে আঃ করিম ওরফে আঃ খালেক (পলাতক), সদর উপজেলার বারপাড়ার মৃত আলী মিয়া’র ছেলে বাহার মিয়া (পলাতক), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শামুকসার গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর ছেলে আবুল বাসার ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে সফিকুর রহমান (সফিক)। খালাস পেয়েছেন- সদর উপজেলার মথুরামপুর গ্রামের মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে মফিজ মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৯৯৯ সনের ২১ মার্চ ভোর বেলায় মতিউর রহমান কাবুল নিজস্ব বাই সাইকেল যোগে লালবাগ রাস্তার মাথা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ওছমান গণির বাড়ির পাশে পৌঁছামাত্র ধারালো অস্ত্র ধারা আঘাত করে বাই সাইকেল হতে ফেলে চোখ উপড়ে কাবুলকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় লালবাগ গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে নিহতের পিতা নজির আহমেদ বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০০০ সনের ১১ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই আসাদুজ্জামান তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশীট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১১জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ জনকে খালাস প্রদান করে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০ জন আসামির মধ্যে ৫ জন রায়ের পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন