ভুলে এক মহিলার স্তন কাটা সংক্রান্ত অভিযোগে পুলিশ গত ২০ মে ডাঃ শরীফকে শহরের নারায়ণপুরস্থ নিজ চেম্বার থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের মাধ্যমে ওই দিনই তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ডাক্তারের জামিনের শুনানির হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে।
আজ সোমবার আবারও শেরপুর জজ কোর্টে মামলার আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে।
এদিকে ডাঃ শরীফকে গ্রেফতার ও জামিন না দেওয়ার প্রতিবাদে ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএর ডাকা আন্দোলনে জেলার সকল ডাক্তার প্রাইভেট প্রেকটিস ৫ দিন বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত থাকলেও প্রাইভেট প্রেকটিস বন্ধ থাকায় জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এমনিতে ১শ' সয্যার হাসপাতালে রোগী থাকে ৩ গুন তার উপর আরও বাড়তি রোগীর চাপে নাজুক হয়ে পড়েছে জেলার চিকিৎসা সেবা। সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও দুপুর ২টার পর ডাক্তার না থাকার কারণে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগীদের চলে যেতে হচ্ছে। জেলার ঔষধের দোকার ও প্যাথলজি গুলো এক রকমের বন্ধ হতে বসেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা ও বিএমএর রশি টানাটানিতে জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে। এ অবস্থার আশু মুক্তি চেয়েছে ভোক্তভোগী লোকজন।
জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আনোয়ার হোসেন চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে সেবা বৃদ্ধি করেও জন দুর্ভোগ কমানো যাচ্ছেনা। বিষয়টি সকর পক্ষকে বোঝানোর চেষ্ঠা করেও কাজ হচ্ছেনা। তবে জেলার বিএমর সভাপতি ডাঃ এম এ বারি তোতা বলেছেন আজ সন্ধ্যায় বিএমএ কার্যালয়ে সংগঠনের বৈঠক আছে, বৈঠকে সার্বিক চিন্তা করে আন্দোলন পরিধি বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন