বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা খলিল শিকদারের ছেলে সিহাব(৩২) ও রুবেল(২৮) গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশের সহযোগীতায় ওই দুই ভাইকে উদ্ধার করে খুলনার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ থানর ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, দুইপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন গুলিবিদ্ধ। তবে স্থানীয়দের দাবি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান একই বংশের চাচা ভাতিজা মাহবুব শিকদার ও খলিল শিকদার। আজ সকালে ভোট শুরু হওয়ার পরে মাহবুব শিকদার বিদ্যালয়ের উদ্দেশে কাছাকাছি গেলে খলিল শিকদারের লোকজন তাকে ধাওয়া করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে নিজের বন্দুক দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন মাহবুব শিকদার। এতে খলিল শিকদারের ২ ছেলে গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়। মাহবুব শিকদার ও খলিল শিকদার পরস্পর চাচা ভাতিজা। তবে এদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। রাজনৈকিতভাবেও এরা দু'জন দুই মেরুর। মাহবুব শিকদার আওয়ামী লীগ ও খলিল শিকদার বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়।
পুলিশ এই ঘটনায় মাহবুব শিকদার ও তার ছোট ভাই মিজানুর রহমানকে আটক ও মাহবুব শিকদারের বন্দুকটি জব্দ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পিজাইডিং অফিসার (উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার) মো. আব্দুল হান্নান জানান, দু'পক্ষের সংঘর্ষের পরে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। তবে ভোট গ্রহণ চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন