ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ফকদনপুর পটুয়া এলাকায় এক সাবেক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে পুকুর পাড়ে মন্দির বসিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাশেঁর ঘর তৈরি করে মূর্তি বসিয়ে মন্দির বানিয়েছে এমন অভিযোগ করেন পুকুরের মালিক রফিকুল আলম। এ নিয়ে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফকদনপুর পটুয়া এলাকায় রফিকুল আলম তার পৈত্রিক জমি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু কিছু কতিপয় ব্যক্তি ওই পুকুর দখল করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলাও চলে। আদালত মামলায় রায় রফিকুল আলমের পক্ষে দেয়। ফলে ক্ষুদ্ধ হয় সাবেক ইউপি সদস্য কৈলাশ। সে গত শনিবার ভোর রাতে কিছু লোকজন নিয়ে একটি বাশেঁর ঘর তৈরি করে দুটি মূর্তি দিয়ে অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করে পুকুর পাড়ে।
পটুয়া এলাকার প্রবীন ব্যক্তি জগেণ চন্দ্র জানান, পূর্ব শক্রুতার জের ধরে পুকুর পারে কে বা কারা রাতারাতি মন্দির তুলেছে আমরা জানি না। কিন্তু সকাল বেলা মন্দির দেখে আমরা অবাক হয়েছি। পুকুর পাড়ে আগে কখনো মন্দির ছিল না।
পাশের এক মন্দিরের পুরোহিত ভবেশ জানান, সাবেক মেম্বার কৈলাশ পুকুর পাড়ে মন্দির স্থাপন করেছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই মন্দির স্থাপন করলো আমরা বুঝতে পারছি। এতে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে।
পুকুরের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা পুকুরটি ভোগ দখল করে আসছি। এই পুকুর নিয়ে দুটি মামলাও চলেছে। আদালত আমার পক্ষে দুটি মামলারই রায় দিয়েছে। কিন্তু কৈলাশ মেম্বার রাতারাতি পুকুর দখলের জন্য মন্দির তৈরি করেছে।
সাবেক ইউপি সদস্য কৈলাশ জানান, এই পুকুর নিয়ে মামলা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। পূজার জন্য অস্থায়ী ভাবে একটি মন্দির স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, আমিও জানতে পেরেছি এই ইউনিয়নে এক সাবেক ইউপি সদস্য একটি পুকুর পাড়ে অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করেন। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৪ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২২