চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙাদিয়ায় ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার কারখানার ট্যাংক বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়া অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্রতায় মারা গেছে ৩৬ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও চিংড়ি। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পর সবমিলিয়ে ১৯২ দশমিক ৭১ হেক্টর পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। আনোয়ারা উপজেলা মৎস্য অফিসের তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার আটদিনের মাথায় গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২২ আগস্ট রাত ১১টায় ওই সার কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে গ্যাসের ট্যাংকটি প্র্রায় ৫০ ফিট দূরে উড়ে গিয়ে পড়ে। এরপর চারপাশে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাসের তীব্রতায় ওই দিন রাত থেকে ২৩ আগস্ট সকাল পর্যন্ত ৫২ জন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কারখানাটির আশপাশের জলাশয়গুলোতে বিপুল পরিমাণ মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়।
২৩ আগস্ট ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় মাছ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এএইচ এন্টারপ্রাইজের অন্যতম পরিচালক শিমুল সেন বলেন, ২৫০ একরের বিশাল ঘোনায় তারা মাছ চাষ করেছেন। গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় অসংখ্য মরা-পচা মাছ ভেসে উঠে পুরো ঘোনা ছেয়ে যায় সাদা রঙের গালিচার মতো। এই ঘোনার মতো অন্যান্য ঘোনাগুলোর চিত্রও ছিল একই।
আনোয়ারা উপজেলা মৎস্য র্কমকর্তা অনিল কুমার বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে কারখানা এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে, কর্মচারি, কর্মকর্তা, চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করি। সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
কারখানা সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে চিনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমপ্ল্যান্ট ডিএপি কারখানাটি তৈরি করে দিয়েছিল। এখানে বছরে ১ লাখ টনের বেশি সার উৎপাদন হয়। এ কারখানার দু'টি ইউনিটে মোট তিনটি অ্যামোনিয়া গ্যাসের ট্যাংক আছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্যাংকটি ছোট আকৃতির দু'টির মধ্যে একটি। বড় ট্যাংকটির ধারণক্ষমতা প্রায় চার হাজার টনের।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ