লক্ষ্মীপুরে যৌতুক দাবিতে কহিনুর বেগম (৩০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
এরআগে দুপুরে সদর উপজেলার গন্ধব্যপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে কহিনুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা তা জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত কহিনুর ওমান প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
নিহত কহিনুরের বাবা সাফিউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে ১৩ বছর ধরে তাকে কারণে অকারণে মারধর করতো তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়ের জামাইকে বিদেশ পাঠাতে যৌতুক হিসেবে সমস্ত টাকা তারা (কহিনুরের পরিবার) বহন করেছেন। সর্বশেষ কহিনুরের দেবর জিল্লালকে বিদেশ পাঠাতে আরো ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় তা দিতে আমরা অপারগতা প্রকাশ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কহিনুরকে তার শ্বশুর মো. গাজী, জিল্লাল, বাহারসহ কয়েকজনে মিলে তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান মিয়া জানান, শ্বশুর বাড়ি থেকে কহিনুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন