লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মেহেদী হাসান বিপ্লব (১৮) বর্তমানে পলাতক রয়েছে। শনিবার উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশ হাজারী কুটিরপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। রাতে অসুস্থ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, ওই গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান বিপ্লব প্রতিবেশী এক মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিপ্লব অপর একটি মাদ্রসার আলিম শাখার ছাত্র। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে সুকৌশলে বাড়ি থেকে বের করে আনে বিপ্লব। পরে পরিবারের লোকজন সারা রাত খোঁজাখুজিঁ করেও মেয়েটির কোন হদিস পায়নি।
শনিবার সন্ধায় বাড়ির অদূরে এক বাশঝাড়ে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পরিবারের লোকজন সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এদিকে মেয়েটি জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে বিপ্লব তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকদিন ধর্ষণ করে তাকে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী এক মাদ্রাসার ঘরে নিয়ে গিয়ে রাতভর বিপ্লব তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ মেয়েটির।
মেয়েটির বাবা জানায়, আমার সহজ সরল মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিপ্লব তার সর্বনাশ করেছে। এটি কোন পিতাই মেনে নিতে পারবে না। তাই বিপ্লবের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি। এদিকে শনিবার রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বাড়ি থেকে সটকে পড়েছেন বিপ্লবের পরিবারের সদস্যরা। কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ বলেন, মেয়েটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল-০৭