মালয়েশিয়ার লরং পানতাই কেলানাং এলাকা থেকে এক বাংলাদেশির পোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ আবদুল মন্ডল। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রামে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই সৈয়দ আবদুল মন্ডলের গ্রামের বাড়ি রাতুগ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি ওই গ্রামের আবদুল কাদের মন্ডলের ছেলে।
রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে সৈয়দ আবদুল মন্ডলকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃৃত্তরা। পরে মালয়েশিয়া সমূদ্র সৈকত থেকে তার পোড়া লাশ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। সে দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৈয়দ আলী নামের চল্লিশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তিকে অন্য কোথাও খুন করে সৈকতের কাছে নিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে বলে বারনামার খবরে জানানো হয়।
এদিকে সৈয়দ আবদুল মন্ডলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের রাজশাহীর দুর্গাপুরে শোকের মাতম নেমে আসে। সৈয়দ আবদুল মন্ডল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিহতের শ্যালক আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, সোমবার সকালে তিনি তার দুলাভাই সৈয়দ আবদুল মন্ডলকে জরুরি কাজে ফোন করেন। তবে তার ফোনটি বন্ধ পান তিনি। পরে বাসায় গিয়ে দুলাভাইয়ের পোড়া লাশ পুলিশ ঘিরে রাখা অবস্থা দেখতে পান।
সৈয়দ আবদুল মন্ডল ২০১০ সালে মালয়েশিয়া যান। এরপর থেকে তিনি সেখানে একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। তবে সম্প্রতি তিনি নিজেই একটি মুদি দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিন রাত নয়টার কিছুক্ষণ আগে সৈয়দ আবদুল মন্ডল তার বাবা আবদুল কাদেরকে ফোন করেছিলেন। ওই সময় তিনি দুর্গাপুর থানার ওসি ও একজন আইনজীবীর মোবাইল নম্বরও বাবাকে দিতে বলেন। তবে কিছুক্ষণ পরেই সৈয়দ আবদুল মন্ডলের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে তার বাবা আবদুল কাদের জানান। তিনি তার ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারেরও সহযোগিতা কামনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল