কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মো. সোহাগ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগ উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের পুত্র।
জানা গেছে, সোহাগের (৩৫) ব্যবহৃত একটি মেমোরি কার্ড নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত মোক্তার হোসেনের পুত্র মীর হোসেন (২৫)। কার্ডটি ফেরত চাওয়ায় কয়েকদিন আগে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গত শনিবার বিকেলে দিনমজুরী শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোহাগের মাথার পিছনে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে মীর হোসেন। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মীর হোসেন লাঠি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা আহত সোহাগকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে সোহাগের মৃত্যু হয়। এঘটনায় সোহাগের চাচা আবদুল খালেক বাদি হয়ে মীর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত সোহাগের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, ‘হত্যার ঘটনা শোনার সাথেই মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে’।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ