সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হকের উপর হামলার ঘটনায় ১৪ জনের নামের থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন সংসদ সদস্য গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন ও তার দুই ছেলে, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বিদ্যুত ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবেক লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক পিয়াসসহ ১৪ জন। তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল সেখ এ অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে মামলাটি নথিভুক্ত করা না হলেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার জড়িত থাকার দায়ে তাড়াশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পিয়াসকে আটক করেছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপ একই সময় কাছাকাছি স্থানে সমাবেশ আহ্বান করায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাড়াশ ও মহিষলুটি বাজারে ১৪৪ জারি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর আলম খান জানান, থানায় একটি অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে। তবে এখনও নথিভুক্ত হয়নি-প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিল্লুর রহমান খান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে দুটি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সংসদ সদস্য ম.ম.আমজাদ হোসেন মিলনের সাথে রাজনৈতিক ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে অঘোষিতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাড়াশে রবিবার দুপুরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সমর্থক সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সেখ ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন এমপি এবং ওসিকে জড়িয়ে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করায় হট্টগোল শুরু হলে মিটিং স্থগিত করা হয়। এমপি মিটিং ত্যাগ করে নিজ বাসায় চলে যাবার সময় ওই দুই চেয়ারম্যান এমপিকে কটূক্তি ও লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। এরপর এমপি বাসায় চলে যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে একদল সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানের রুমে হামলা চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব