নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অর্ধশত মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার চাকরি হারিয়ে অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ভোক্তভোগীরা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে অর্ধেক মিটার রিডার ম্যাসিঞ্জার চাকরি হারাবে বলে ভোক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বি আর ইবি (বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিপ্রিকেশান বোর্ড) এর সার্কলার অনুযায়ী নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৯ বছরের জন্য মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী নয় বছর পর্যন্ত একই পিবিএস (পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি) এর আওতাধীন চাকুরি করবে। নয় বছর শেষ হওয়ার পর অন্য পিবিএসে পদ সৃষ্টি হলে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী করতে পারবে ফের আরও নয় বছর।
নিয়োগের সময় প্রতি মিটার রিডার প্রতি মাসে এক হাজার সাতশত থেকে ২ হাজার পর্যন্ত মিটারের রিডিং আনবে এবং ম্যাসেঞ্জারাও প্রতি মাসে এক হাজার ৭শ' থেকে ২ হাজার পর্যন্ত বিল বিতরণ করবে। কিন্তু এ নিয়ম থাকলেও চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বি আর ই বি এক সার্কুলার জারি করেন।
এতে বলা হয়, প্রতিজন মিটার রিডার প্রতি মাসে ৪ হাজার মিটার রিডিং সংগ্রহ এবং প্রতজিন ম্যাসেঞ্জার ৫ হাজার করে বিল বিলি করবে। সার্কুলার জারির পর থেকে এক ব্যক্তি দ্বিগুণ কাজ করায় জনশক্তি চাহিদা কমে যাচ্ছে। এছাড়া ৩ বছর অতিক্রম করার পরও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের চাকুরি নবায়ন করছেনা।
নোয়াখালী পিবিএসে কর্মরত ২৪৩ মিটার রিডার ও ম্যাসিঞ্জারের মধ্যে সার্কুলার জারির পর থেকে প্রায় অর্ধশত কর্মচারী চাকরি নবায়ন না করায় চাকুরিচ্যুত হন। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে অর্ধেক মিটার রিডার ম্যাসিঞ্জার চাকুরী হারাবে বলে ভোক্তভোগীরা জানান।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শংকর লাল দত্ত বলেন, 'তাদের ২ হাজারের পরিবর্তে ৪ হাজার করার কারণে এত জনশক্তির প্রয়োজন না থাকায় চাকুরি নবায়ন হচ্ছে না। তাছাড়া বি আর ইবি এর সার্কুলারের বাইরে আমি যেতে পারিনা।'
বিডি প্রতিদিন/২ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-১৮