লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা কেন্দ্রে দু'জন ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছে কক্ষ পরিদর্শকের হাতে। তারা উপজেলার সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আলমের প্ররোচণায় পিইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে নানা আলোচন-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পারুলিয়া দ্বিমুখী তফশীলি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬ নং কক্ষে সোমবার বাংলা পরীক্ষায় অংশ নেয় শাপলা খাতুন (রোল নং-ম-৩২৩১) ও শাবানা খাতুন ( রোল-ম-৩২৩২) নামের দুই পরীক্ষার্থী। এসময় কক্ষ পরিদর্শক রোকনুজ্জামান সোহেল তাদের বাবার নাম জানতে চাইলে তারা তাদের আসল পরিচয় বলে দেয়। পরে জানা যায় যে, ভুয়া নাম ব্যবহার করে উপজেলার সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছে দিতি আক্তার পপি ও শাহানাজ আফরিন বিথি নামের ওই দু'জন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এরমধ্যে বিথি পারুলিয়া দ্বিমুখী তফশীলি বিদ্যালয়ে আর দিতি ডাউয়াবাড়ি আছের মামুদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
এ ব্যাপারে সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাহীনুর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করে কলটি কেটে দেন।
তবে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর বিথি ও দিতি নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী আর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
পারুলিয়া দ্বিমুখী তফশীলি বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব অনিল চন্দ্র রায় বলেন, ওই দু'জন ভুয়া পরীক্ষার্থী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়ার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই বলছেন, প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা নিয়ে হাতীবান্ধায় বারবার এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও তা দেখার কেউ নেই। শিশুদের নিয়ে শিক্ষকদের এমন কূটকৌশলে খোদ শিক্ষা অফিসের লোকজন জড়িত বলে মন্তব্য করেন অনেকে। তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মানুষজন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ