১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:১০

'বহলা' ট্রাজেডি আজও কাঁদায় দিনাজপুরবাসীকে

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

'বহলা' ট্রাজেডি আজও কাঁদায় দিনাজপুরবাসীকে

আজ ১৩ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বিরল শহরের 'বহলা ট্রাজেডি' দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৭১-এর এদিনটির কথা মনে হলে বিরলের বহলাসহ আশ-পাশের গ্রামের হাজারো মানুষের শরীর এখনও শিউরে উঠে। এদিনে শহীদ হয়েছিল ৪৩টি তাজা প্রাণ। এদের একত্রে গণকবর দেয়া হয়েছিল। স্মৃতি ধরে রাখতে গণকবরটিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। 

বিরল শহরের বিজোড়া ইউপি’র দক্ষিণে বহলা গ্রাম। ২৯মার্চ দিনাজপুরবাসী বিডিআর সেক্টর সদর দপ্তর কুঠিবাড়ীতে হামলা চালিয়ে সেটি দখল করে নেয়। সেখানকার রসদ লুট করে আনা হয় বহলায়। তাছাড়া এই বহলা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি। স্বভাবতই এর উপর আক্রোশ ছিল পাক সেনাদের।

৭১-এর ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার সময় পুরো পাড়াটাই ঘিরে ফেলে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য ও তাদের দোসররা। তারা এ গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করার প্রস্তাব দেয়। এ সময় গ্রামের সাধারণ মানুষ আপত্তি তুললে মুহূর্তে যা ঘটার তা ঘটে যায়। মাগরিবের নামাজের মাত্র দু’ রাকাত নামাজ শেষ করার সাথে সাথে পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা সাধারণ মানুষগুলিকে সারিবদ্ধ করে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ৪৩ জন নীরিহ মানুষের জীবন প্রদীপ চিরতরে নিভে যায়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তারা। সে সময় ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান কালের স্বাক্ষী আব্দুল গণী ও আনিছুর রহমান। 

উল্লেখ্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে গণকবরের পাশে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এবারেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক, সামজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের উদ্যোগে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, কবর জিয়ারত, পূষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়া। 


বিডি প্রতিদিন/১৩ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর