বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. জাকির হোসেনের বাসা থেকে রাজিয়া নামে (১৩) এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর জর্ডন রোডের ভাড়া বাসার বারান্দায় গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত রাজিয়াকে দেখে জাকিরের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেলে অফিসার ডা. মাসুদ মোল্লা জানান, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
মৃত রাজিয়া বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার নূর মোহাম্মদের মেয়ে। গত প্রায় ৩ বছর ধরে সে এডিএম জাকির হোসেনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলো।
গৃহকর্তা বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, তার ভাড়া বাসার অদূরে আরেক বাসার গৃহকর্মী মো. মিলনের সাথে সম্প্রতি রাজিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। বিষয়টি তার স্ত্রীর চোখে ধড়া পড়ে। এডিএম’র স্ত্রী বিষয়টি মুঠোফোনে রাজিয়ার বাবাকে জানায়। এরপর রাজিয়াকে তার বাবা বকাঝকা করে। এডিএম’র স্ত্রীও তাকে ওই ছেলের সাথে সম্পর্ক না রাখতে সতর্ক করেন। বিষয়টি এমডিএম জানতে পাড়লে পরিনতি খারাপ হতে পারে বলে ভয় পেয়েছিলো রাজিয়া।
তিনি বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে বাসার একটি অন্ধকার বারান্দায় গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে পড়ে সে। বাসার আরেক গৃহকর্মী তাকে ঝুলন্ত দেখে চিৎকার দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজিয়ার লাশ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার মর্গে ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/১৩ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল