কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচির আওতায় ৪৭টি প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। উপজেলাধীন ৬নং চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যন ফজলুল হক মন্ডল ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৌশলে নামে মাত্র ৪৭টি প্রকল্প দেখিয়ে বিশেষ নগদ উপবরাদ্দ (২৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৩৬টাকা বরাদ্দ) পাশ করান। উক্ত টাকা ৩০জুন ২০১৬ তারিখের মধ্যে কাজ সম্পন্ন নির্দেশনা বেধে দেওয়া হয়।
৩০জুনে ৯৪ মেট্রিক টন টিআর কর্মসূচির আওতায় ২৪ লক্ষ্য ৯৯হাজার ৮৩৬ টাকা বরাদ্দ রৌমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে জমা হয়। নিয়ম অনুসারে ৩০জুনের পূর্বে শতভাগ কাজের অগ্রগতি দেখিয়ে মাষ্টার রোল জমাদানের মাধ্যমে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করতে হয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নামেমাত্র প্রকল্প ও প্রকল্প সভাপতি বানিয়ে কোন প্রকার কাজ না করে সমুদয় অর্থ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তরিঘরি করে প্রতিটি প্রকল্পের বিপরীতে ৫৩হাজার ১৮৮ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, চেয়ারম্যান ফজলুল হক প্রকল্পটি ঢাকা থেকে করে এনেছেন। তবে প্রকল্পটি বিলম্বে ৩০ শে জুন আমার হাতে পৌঁছে। যেহেতু ৩০জুনের মধ্যে টাকা উত্তোলন করতে হবে। চেয়ারম্যন শতভাগ কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমুদয় টাকা বুঝিয়ে নেয়। টাকা বুঝিয়া পাওয়ার পর বারবার কাজের তাগিত দিলেও ওই চেয়ারম্যান পাশ কাটিয়ে চলেন। তবে বিষয়টি অফিসিয়াল ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার