বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আন্দালন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। আজ সোমবার চতুর্থ দিনের আন্দোলন শুরুর পর সিটি মেয়রের আশ্বাসে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলদের অনুরোধে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, ৫ মাসের বকেয়াসহ প্রতিমাসে নিয়মিত বেতন প্রদান, প্রভিডেন্ড ফান্ডের ৩৬ মাসের অর্থ বরাদ্দ, উন্নয়নের নামে অনিয়ম রোধ এবং অপ্রয়োজনীয় জনবল বাতিলের দাবিতে গত বুধবার থেকে আন্দোলন শুরু করে বরিশাল সিটি করপোরশেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই দাবিতে বুধবার ৩ ঘন্টা, বৃহস্পতিবার ৪ঘন্টা এবং গত রবিবার ৫ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে নগরভবনে অচলাবস্থার সৃস্টি হয়। নগরবাসীর সেবা কার্যক্রমও ব্যহত হয়।
এ অবস্থায় রবিবার রাতে সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের সাথে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আন্দোলনকারীদের দুটি প্রতিনিধি দলের সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন সিটি মেয়র। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চতুর্থ দিনের আন্দোলন শুরুর পরপরই ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সমঝোতাকারীদের অন্যতম নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম জাকির হোসেন বলেন, সিটি মেয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা সিটি মেয়রের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হয়ে আজ সোমবার চতুর্থ দিন আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে যোগদেন। এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেয়ায় নগর ভবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সেবা পেতে শুরু করেছে নগরবাসী।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সিটি করপোরেশনের কর নির্ধারক বেলায়েত বাবুল বলেন, সিটি মেয়র যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছেন, সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্দশা কেটে যাবে। এসব বিবেচনায় নগরবাসীর সেবা স্বাভাবিক রাখতে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা মেয়রের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছেন।
বরিশাল সিটি করপোশেনের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪শ’। অস্থায়ী কর্মচারীরা সংখ্যা ৭৯জন। তারা গত ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়া আউট সোর্সিংয়ের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না গত ২ মাস ধরে। সিটি করপোরেশনের মাসিক ব্যয় ৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় হয় দেড় থেকে পৌঁনে ২ কোটি টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার