কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হতে না পেরে কলেজের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক ছাত্রী।
রবিবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থী জিনিয়া হক মজুমদার জুঁই(১৯) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক একরামুল হক মজুমদারের মেয়ে।
সূত্র জানায়, জু্ইঁ ২০১৪ সালে স্থানীয় এক বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৪৪ পেয়ে মহিলা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। ২০১৬ সালে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পারিবারিক অভাব অনটনের পরও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তির জন্য কোচিং করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে সে স্নাতক সম্মানে ভর্তির জন্য আবেদন করে। সেখানেও মেরিট লিস্টে ঠাঁই না পেয়ে একই কলেজে ডিগ্রি(পাস) কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করে জুঁই।
ভিক্টোরিয়া কলেজে চান্স পেয়ে কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংক ড্রাফ পূরণ করে রবিবার কলেজে জমা দিতে গেলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দিষ্ট ফরম পূরণের সময় শেষ হয়ে গেছে। এতে এবারও তার ভর্তি হওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কলেজ থেকে এ সংবাদপ্রাপ্তির কিছু সময় পর সে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সময় তার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা চার হাজার টাকাও চুরি হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর সে ব্যাগে টাকা দেখতে না পড়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এক পর্যায়ে জুঁই প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে গলার ওড়না হাতে নিয়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করে। এক যুবক বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক ভবনের কর্মচারীরা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখে গলার ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে ওই ছাত্রী। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে জেনারেল হাসপাতালে ও পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।
এবিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু তাহের বলেন, মেয়েটি ভর্তি হতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তার টাকাও চুরি হয়ে যায়। আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।