ঝালকাঠির ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান লিটন মাঝি বিএনপি থেকে যোগদান করেই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে তিনি ঝালকাঠি সদর থানা বিএনপির সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চর হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিসহ সাধারণ নেতা-কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা এর বিরোধীতা করেন। তারা প্রস্তাবিত এই কমিটি বাতিলের দাবি জানান। এছারাও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে দুর্বল সৈয়দ আলীকে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে। লক্ষনকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কমিটি গঠন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নলছিটি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইউনুস লস্কর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক নুরুজ্জামান সেলিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, মজিবর রহমান প্রায় ৩৫ বছর ৬ নং লক্ষনকঠি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে কমিটি করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্দ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দুইবারের সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম, আমাকে বাদ দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বিএনপির লোক দিয়ে পকেট কমিটি করেছে। উপস্থিত সকলে এর বিরোধীতা করেছে বলেও তিনি জানান।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন মাঝি বলেন, ‘ আমি এক সময় বিএনপি করতান। তবে জেলা বা ওয়ার্ডের কোন পদে ছিলাম না। গত বছর ইউপি নির্বাচনের আগে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির ভাইয়ের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।
এ ব্যাপারে ভৈরবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দেড় বছর আগে লিটন মাঝি আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। এরপর থেকে আমাদের সঙ্গে দলীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে। তিনি আগে কি করতেন আমি জানি না।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নুরুজ্জামান সেলিম বলেন, অনৈতিকভাবে জোর করে বিএনপির লোককে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছে ইউপি চেয়ারম্যান। আমরা কেউ এর পক্ষে ছিলাম না।
বিডি-প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব