সাংবাদিক শিমুল হত্যাকারী মামলার প্রধান আসামী শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু, দুই ভাই মিন্টু-পিন্টুসহ আটজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার সকালে জেলা কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় মিরুসহ আটজনকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালতে তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষে কোর্ট ইন্সপেক্টর নওজেস আলী ও এপিপি আবুল কাশেম এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. সানোয়ার হোসেন শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছিল। আদালতে প্রাঙ্গনে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য সকাল থেকেই শাহজাদপুর কোর্ট চত্বরে র্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আদালত চত্বর ও বাইরে সার্বক্ষণিক পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর দুই ভাই অস্ত্রের মুখে মেয়রের বাড়িতে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিজয়ের স্বজনরা মেয়রের বাসার সামনে মিছিল নিয়ে গিয়ে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় মেয়র মিরু ও তার ভাই শটগান দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। এরই এক পর্যায়ে কর্তব্য পালনকালে গুলিতে সমকাল সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল গুরুতর আহত হয়। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে সাংবাদিক শিমুল মারা যায়। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুলক হক মিরুকে প্রধান আসামী করে ১৮ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা শ্যামলী এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মেয়র মিরুকে আটক করে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব