এক সময়ের খরস্রোতা পুনর্ভবা, আত্রাই নদী এখন যেন মরা খাল। দিনাজপুরের কাহারোলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের খরস্রোতা পুনর্ভবা নদী ও সদরের গাবুরা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদী প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ড্রেজিংয়ের অভাবে এই করুন অবস্থা। দিন দিন নদী দুটি নাব্যতা হারিয়েছে। তবে শুধু পুনর্ভবা কিংবা আত্রাই নদী নয়, এই অবস্থা আরও অনেক নদীতে। ফলে অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সেতু আছে, কিন্তু নদী নেই।
আবার কোন নদীর তলদেশ আর সমভূমি একই অবস্থায়। কোথাও কোথাও চলছে ভুট্রা-ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। আবার দখল হয়ে নদীর দুই পাড়ে অবাধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছে এক শ্রেণির মানুষ। অথচ এক সময় কৃষি কাজে সেচের জন্য ওই নদীর পানি ব্যবহার করতেন কৃষকেরা।
কাহারোলের নদীর পাড়ের এলাকাবাসী আব্দুল জলিল জানান, ২০-২২ বৎসর আগে নদী এলাকার মানুষ মাছের জন্য এ নদীর উপর নির্ভর করতেন। এখন নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় অনেকে পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন। নদীর মৎস্য সম্পদ আহরণ দিন দিন কমে গেছে। অথচ এক সময় এই পুনর্ভবা নদীর পথে যাতায়াতের ও ব্যবসায়িক কাজে নৌ-পথই ছিল একমাত্র অবলম্বন।
তিনি দাবি করেন, কাহারোল উপজেলার হাটটি জেলার সবচেয়ে বৃহত্তর হাট। তাই আজ থেকে ২০ বৎসর আগে জেলা শহর থেকে ব্যবসায়িরা নদী পথে নৌকা নিয়ে কাহারোল হাটে ব্যবসা করার জন্য আসতেন।
এখন আত্রাই নদীতে চলছে ভুট্রা-ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষও।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব