পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাবিনা আক্তারকে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘানি টানতে হচ্ছে মাসের পর মাস। বিরোধী পক্ষের নির্মম নির্যাতনের শিকার সাবিনার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। নাড়াতে পারে না হাত।
জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত মামলা-বিরোধ রয়েছে সাবিনার বাবা ছিদ্দিক হাওলাদারের সঙ্গে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের শাহআলম ফরাজীর। এর জের ধরে শাহআলম ফরাজীর স্ত্রী সাজেদা বেগম নির্দয়ভাবে মারধর করে শিশু সাবিনাকে। দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসার পরও শিশুটি তার হাত ঠিকমতো নাড়াতে পারছে না। মেধাবী এ শিশুটি হাতের ব্যান্ডেজ নিয়েই প্রাথমিকের সমাপনি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এরপর হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও হাতের আঘাত ভাল না হওয়ায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
সাবিনার মা জেসমিন বেগম কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তার শিশুকন্যার ওপর এমন নির্মম নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, তখন সাবিনা আক্তার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরছিল। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট। বিকাল আনুমানিক ৪টা। শাহআলম ফরাজীর স্ত্রী সাজেদা বেগম গরু বাঁধার একটি কাঠের 'গোছ' দিয়ে সজোরে আঘাত করে সাবিনার বাহুতে। সাবিনা হাতের জয়েন্টের হাড়ে মারাত্মক আঘাত পায়। এখনো তার হাত ভালো হয়নি।
এ ঘটনায় তিনি কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন বলে জানান।
কলাপাড়া থানার এএসআই মো. বেল্লাল হোসেন জানান, আভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ