করতোয়া নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মহাস্থান এলাকায় নদীতে বাঁধ দিয়ে নদী খনন করার ফলে ৫০ একর জমির বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। এতে করে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষনের ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী এলাকার নিচু জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান মহাসড়কের সেতুর কাছ থেকে রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের মসজিদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার করতোয়া নদী খননের কাজ শুরু করেছে সরকার। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনন্তবালা মসজিদের কাছে নদীতে বাঁধ দিয়ে খননকাজ শুরু করা হয়। মহাস্থান সেতুর কাছ থেকে উত্তর দিক ধরে খনন শুরু হয়েছে। বর্তমানে শীলাদেবী ঘাট ও জাদুঘরের সামনে মনিতলা পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। এদিকে গত ক’দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে বাঁধ দেওয়া অংশের উত্তরে পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নিচু এলাকার বোরো ধান, ভুট্টাক্ষেত, মিষ্টি আলু, মুলাসহ প্রায় ৫০ একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
রায়নগর ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান খোকন, অছিতুল্লাহ পুটু মিয়া জানান, তাদের প্রত্যেকেরই এক থেকে দেড় বিঘা জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। আবিলম্বে বাঁধটি অপসারণ করা না হলে ওই অঞ্চলের সব বোরো জমি তলিয়ে যাবে। এতে করে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ কর্মীরা বিষয়টি সরেজমিনে দেখে জানানোর পর সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মো. শাহনেওয়াজকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, নদী খননের কাজ শেষ হতে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন লাগবে। বর্তমানে ৫টি স্কেভেটর যন্ত্র দিনভর কাজ করছে। এই মুর্হূতে বাঁধটি অপসারণ করা হলে পানি জমে খনন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ঠিকাদার বিকল্পভাবে একটি পাইপ বসিয়ে ধীরে ধীরে পানি নিষ্কাশন করছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ