আশুলিয়ায় একটি স্কুলে কৃমিনাশক ঔষধ খেয়ে দশ শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার রুস্তমপুর এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হচ্ছে, সারামন, রিয়া মনি, রিয়া আক্তার, তাসিন আক্তার, চুমতি আক্তার, সারজানান আক্তার, রোকছানা আক্তার রামিম হাসান ও বৃষ্টি আক্তার।
স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে আশুলিয়ার রুস্তমপুর এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানা শুরু করা হয়। এর এক পর্যায়ে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বমি করতে শুরু করে। পরে এদের মধ্যে কয়েকজন খিচুনি ও মাথা ঘুরিয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলে তাদেরকে উদ্ধার করে আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা জান্নতুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্মীরা স্কুলের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো শুরু করেন। এসময় ১০ জন শিক্ষার্থী পেটে ব্যাথা ও বমি শুরু করলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে।"
অভিভাবাকরা বলেন, অসুস্থ্য হওয়ার খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসি। আমাদের মেয়েরা শরীর খিঁচুনি ও বুমি করছে। তাদের স্থানয়ি বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সরকারি ওষুধ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে, তাদের চিকিৎসা খরচ বা দ্বায়বার কে নেবে?
এদিকে সরেজমিনে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, অভিবাবকরা অসুস্থের খবর পেয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এছাড়া প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে জেনারেল ফার্মা কৃমিনাশক ওষুধের দুইটি বক্স রাখা আছে। উৎপাদন তারিখ ২০১৪ সালের আগষ্ট ও মেয়াদার্ত্তীন তারিখ ২০১৭ সালের আগষ্ট।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আমজাদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই। তবে অতিরিক্ত গরম ও মনস্তাত্বিক কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও একই ঔষধ সাভারের বিভিন্ন এলাকায় স্কুলে খাওয়ানা হয়েছে। তবে এর আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলেও। এছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৬