পাহাড়ে জলকেলিতে মেতে উঠেছে মারমা তরুণ-তরুণীরা। এখন চলছে সাংগ্রাই উৎসব। আজ শনিবার থেকে মারমাদের সাংগ্রাইং উৎসব শুরু হয়েছে। তাই উৎসবে মেতে উঠেছে মারমা জনগোষ্ঠি। জেলা শহরের পানখাইয়াপড়া ও বিভিন্ন মারমা পাড়ায় জলকেলি বা পানি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শতশত তরুণ তরুণী একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নিজেরা শুদ্ধ করে নেয়। নেচে-গেয়ে, কনসার্ট করে উল্লাস করছে তারা।
আজ পানখাইয়া পাড়া বটতলা প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য সাংগ্রাইং র্যালী বের করা হয়। র্যালীর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, মংরাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মতিউর রহমান, ডিজিএফআই খাগড়াছড়ি অধিনায়ক মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান ছাড়াও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, সামরিক-বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা র্যালীতে অংশ নেন।
ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মারমা পোষাকে বর্ণিল র্যালিটি শহর পদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসব। তরুণ-তরুণীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে উল্লাস প্রকাশ করে। মার্মা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দু:খ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সাথে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে তাদের জীবন সঙ্গীকে। এছাড়াও উৎসব উপলক্ষে নানা খেলাধূলা, পিঠ উৎসব, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ওপেন কনসার্ট চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার