পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ (সাংগ্রাই) জলকেলী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলার কয়েকশত রাখাইন তরুন-তরুনীরা অংশ নেয়।
শনিবার বিকালে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়াআমখোলা রাখাইন পল্লীতে স্থানীয় রাখাইনদের উদ্যোগে এ উৎসব পালন করা হয়। জলকেলি (ওয়াটার ফেসটিবল) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা। রাখাইন এ জলকেলি উৎসব পর্যটক সহ নানা পেশার অসংখ্য মানুষ উপভোগ করেন। উৎসব ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে আলোক সজ্জা সহ বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জা করেছে।
রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস জণকেলী উৎসব পুরণো দিনের পাপ পঙ্কিলতা মোচন হয়। এ ব্রত নিয়ে এ অঞ্চলের রাখাইন নারী, পুরুষ, আবাল, বৃদ্ধা, শিশু বনিতারা নতুন পোশাকে উৎসবস্থলে সমবেত হয়।এছাড়া দিনভর নানা ধরনের পিঠা পুলি দিয়ে আতিথিয়েতা করেন তারা।
আয়োজক কমিটির অন্যতম বাবু চোতেন জানিয়েছেন, "তিন দিনের এ জলকেলি উৎসবটি আর্থিক দৈন্যতায় একদিনে সম্পন্ন করা হয়েছে।"
পটুয়াখালী জেলা রাখাইন বুদ্দিষ্ট ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপিত বাবু উথাচিন তালুকদার বলেছেন, "বিলুপ্তি হওয়া কুয়াকাটার আদিবাসী রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের আরও আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।"
কুয়াকাটার আদিবাসী রাখাইনদের সংস্কৃতি এখন বিলুপ্তির পথে এমন দাবী করে বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট’স ইউনিটি (বিআরএসইউ)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অংনাইন বলেন, "সকলের আন্তরিকতা থাকলে পুনরায় এ সম্প্রদায়কে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।"
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১২