ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস। চলতি বছরে তামাকের জমিতে তামাকের পরিবর্তে উপজেলা কৃষি অফিস ভুট্টা চাষের সাফল্য অর্জন করেছে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছরে মিরপুর উপজেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার এক’শ হেক্টর।চলতি বছরে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে ১ হাজার একশত ৭০ হেক্টর। বিগত বছরের তুলনায় ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা। সেই সাথে তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে।
মিরপুর উপজেলার মশান এলাকার ভুট্টা চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমি এর আগে আমার ৬ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছিলাম। তামাকে খুব পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া তামাক চাষ করার ফলে রোগ-বালাই বেশি হতো। যার কারণে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তামাকের পরিবর্তে সেই জমিতে এবার ভুট্টা চাষ করেছি।
তিনি আরও জানান, ভুট্টা চাষে তামাকের তুলনায় খরচ অনেক কম, দামও অনেক ভালো। সেই সাথে ভুট্টার গাছ ও খড়কুটা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
তিনি আরও জানান, আমার এক বিঘা জমিতে খরচ প্রায় ১১০০০ টাকা, ফলন আশা করছি প্রায় ৩৩ মন হবে। যার বাজার মূল্য ২৩ হাজার টাকা। তার সাথে জ্বালানী পাবো ২ হাজার টাকার মতো। তাতে খরচ খরচা বাদ দিয়ে আমার লাভ হবে প্রায় ১৪ হাজার টাকা।
চাষী রবিউল ইসলাম জানান, ভুট্টা আমরা খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করতে পারি। আর তামাককে তা পারি না। তাছাড়া ভুট্টা চাষ তামাকের চেয়ে লাভজনক। ভুট্টা চাষে পরিশ্রমও তুলনামূলকভাবে কম।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, চলতি বছরে মিরপুর উপজেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। কৃষকরা ভুট্টা চাষের প্রতি ঝুঁকছে। তামাকের পরিবর্তে তারা ভুট্টার চাষ করছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ভুট্টা চাষে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভুট্টা মানুষের খাদ্য ও গো খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আর বাজারে ভুট্টার চাহিদা বেশ ভালো। আর ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম। তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ অধিক লাভজনক।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার