রাজশাহীতে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাজশাহী মহানগরীতে দুইজন, চারঘাট ও গোদাগাড়ী উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে পদ্মা নদীতে পাঁচজনকে নিয়ে নৌকা আসার সময় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স। নিহতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার সপুরা এলাকার ফরিদুল ইসলাম (৪৮), মতিহার থানার বেলঘরিয়া এলাকার মুনছুর রহমান (৪০), চারঘাট উপজেলার বেলঘরিয়া শ্যামপুর গ্রামের আছিয়া বেগম (৪৫) ও গোদাগাড়ী উপজেলার তালাকুন্দলিয়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৫০)।
রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় মাঝ নদী থেকে একটি নৌকা পাঁচজনকে নিয়ে আসছিলো। এ সময় ঝড়ের কবলে পরে নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়। পরে সাঁতরে দুইজন তীরে আসলেও বাকি তিনজন এখনও নিখোঁজ আছে বলে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন।
রাজশাহী সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিশু তানিম ও আহাদ দরগাপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসার ছাত্র। রবিবার বিকেলে তারা নৌকায় চড়ে দরগাপাড়া এলাকার সামনে পদ্মার ওপারে চরে গিয়েছিল। সন্ধ্যার একটু আগে আবহাওয়া খারাপ হয়ে উঠলে একটি নৌকা তাদের আনতে গিয়েছিল। ওই নৌকায় দরগাপাড়া এলাকার রকি (২৮) ও রাশেদ (৩২) নামে দুই ব্যক্তিও ছিলেন। ঝড়ের সময় নৌকাটি মাঝিসহ ৭ জনকে নিয়ে এপারে ফিরছিল। এক পর্যায়ে তুমুল ঝড়ের কবলে পড়ে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। এরপর রকি ও রাশেদ সাঁতরে তীরে উঠলেও দুই শিশুসহ পাঁচজন নিখোঁজ থাকেন।
ফরহাদ হোসেন জানান, ঘটনার পর রকি ও রাশেদকে অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তারা সুস্থ্য হলে সোমবার সকাল ৮টা থেকে তাদের নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তারা নৌকা ডোবার স্থান চিহ্নিত করেন। এখন ডুবুরিরা দরগাপাড়া এলাকায় নদীর তলদেশে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আহত হন শফিকুল ইসলাম। পরে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার