বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের প্রিজন শেল থেকে তিনি জামিনের মুক্ত হন। টুকুর আইনজীবী ইন্দ্রজিত সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টুকুর আইনজীবী এ্যাড. ইন্দ্রজিত সাহা জানান, ছাত্রদল নেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়ি রেলক্রসিংয়ের পাশে ছাত্র গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সমাবেশ চলাকালে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ৬ কর্মী নিহত হওয়ায় বিক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীরা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় পৃথক সাতটি মামলা দায়ের করা হয়।
এসব মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এ সকল মামলায় টুকু ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেন। কারান্তরীণ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের প্রিজনসেলে প্রেরণ করা হয়। সাতটি মামলায় গত এক মাসে তিনি উচ্চ আদালত থেকে পর্যায়ক্রমে জামিন পান। সর্বশেষ একটি মামলায় জামিন পান গত ৮ মে। শুক্রবার তিনি প্রিজন শেল থেকে জামিনে মুক্ত হন।
বিডি প্রতিদিন/১২ মে ২০১৭/হিমেল