শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ও ঘরিষার ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সোমবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা।
আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি ও আশ্রয় নিতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত উত্তর কেদারপুর গ্রামের রিপন মন্ডলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানের বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে গেছে গত রাত থেকেই। হাসপাতালে বর্তমানে বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। দ্রুত বিদ্যুৎ না পেলে বিভিন্ন জরুরি ঔষধ নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে সোমবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়ে চরআত্রা, কাটিকাটা ও ডিএমখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়ি ঘর নষ্ট হয়। এতে এক শিশুসহ দুইজন প্রাণ হারান। আহত হয় আরও ২৫ জন।
এদিকে, চরআত্রা, কাটিকাটা ও ডিএমখালী ইউনিয়নে ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার হাজার ৬৪০ কেজি চাল ও নগদ এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হযেছে। ঝড়ে নিহত দুই জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ মে, ২০১৭/ফারজানা