পাবনার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লিচু চাষিদের শত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বুধবার হঠাৎ শুরু হওয়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে এসব ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে লিচু বাগান। একই সঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসলের। শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ের আঘাতে আধা পাকা লিচু ফেঁটে গেছে এবং শত শত গাছের হাজার হাজার লিচু ঝড়ে পরেছে। ভেঙে গেছে লিচু গাছের ডাল-পালা।
ক্ষতিগ্রস্ত লিচু চাষিদের দাবি, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের লিচু চাষি ফকরুল ইসলাম বলেন, পরপর দুইবার হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের গ্রামের যে সকল লিচুর বাগান রয়েছে সকলের লিচু ঝড়ে গেছে। আবার ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে শিলাবৃষ্টির কারণে লিচু ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মৌসুমী ফল বিক্রি করে আমাদের অনেকের সংসার চলে। এখন কিভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
পাকশী গ্রামের লিচু বাগান মালিক রাসেল হোসেন বলেন, লাভের আশায় ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়ে বাগান কিনেছিলাম, কিন্তু এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে লিচুর বাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি ১০টি বাগান কিনেছিলাম আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার লিচুর ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমাদের এলাকাসহ আশেপাশের আওতাপাড়া, দাপুনিয়া, আটঘোড়িয়া, একদন্ত গ্রামের সব বাগান মিলিয়ে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (উদ্যান) আবুল খায়ের বলেন, পাবনা অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা বিশেষ করে পাকশী, ছলিমপুর, আটঘোড়িয়া, একদন্ত, জালালপুর এলাকায় ছোট-বড় বেশ কিছু লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে। শিলাবৃষ্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ে ওসব লিচু বাগানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জরিপ না করে বলা কঠিন।
তিনি আরো বলেন, লিচু পোক্ত হয়ে গেছে এমন লিচু চাষি এবং মালিক পক্ষ কিছু টাকা পাবে। তবে লিচু আহরণ পর্যায়ে থাকায় কৃষকরা এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তার ধারণা।
বিডি প্রতিদিন/ ১৮ মে ২০১৭/আরাফাত