নূন্যতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভাবাসী। তাই নানা সমস্যায় জর্জিত হয়ে পড়েছে সাধারণ নাগরিকরা। এ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি করা হয়। কিন্তু ব্যস্তবের চিত্র ভিন্ন পেক্ষাপট। এ পৌরসভায় অনেক এলাকাতেই নেই কোন ড্রেনেজ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। অপরদিকে শোডিয়াম লাইটিং না থাকায় সন্ধ্যার পরই অন্ধকারে পৌর এলাকায় ভুতরে পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে করে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাদ বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে পৌর এলাকার অনেক গ্রামের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই নাজুক। এ সকল সমস্যা নিয়ে যেন পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা।
ভুক্তভোগী ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তখন পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা পৌর প্রশাসক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। ওই পৌর এলাকায় মোট জনসংখ্যা-৪১৬০৮। ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারী পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হয়। মোট ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে এ পৌরসভা গঠিত। বিগত দিনে দুই-দুইবার পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহিন। তখন তিনি মেয়য়ের দায়িত্ব পালনকালে পৌরসভার নাগরিকদের তেমন কোন ভাগ্যের উন্নয় ঘটাতে পারেননি। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারী পৌর নির্বাচনে আ. লীগের প্রার্থী খায়রুল আলম খোকন বেপারীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এনায়েত হোসেন মেয়র নির্বাচিত হয়। তিনি দায়িত্ব পালনকালে ওই ৫ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। ফের ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে এনায়েত হোসেন আওয়ামী লীগের মনোননয় নিয়ে পুনরায় দ্বিতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন। তখন তার নির্বাচনী ইশতিহারে ছিল উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। পৌরবাসিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিজিটাল পৌরসভা গড়ার। কিন্তু পৌরসভার অনেকগুলো রাস্তাই রয়েছে এখন পর্যন্ত কাঁচা। এমনি সংস্কার করা হচ্চে না অধিকাংশ রাস্তা। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভায় নেই কোন লাইটিং ব্যবস্থা। এতে করে সন্ধ্যার পরেই পৌর এলাকায় অন্ধকারে ভুতরে পরিবেশ সৃষ্ঠি হচ্ছে। চোর আতঙ্কে মানুষের জানমাল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় পৌর এলাকার মাছ বাজারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বৃষ্টি হলেই হাটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এ ছাড়াও পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় খাবার পানির তিব্র সংকট রয়েছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার মেয়র মো. এনায়েত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার