দুই দিনের টানা বর্ষণে পাবনা শহরের নিউমার্কেট পাবনা কলেজ গলি ও দই বাজার মোড় এলাকাসহ শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পৌর এলাকার শালগাড়িয়াসহ কয়েকটি মহল্লার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। গত কয়েক বছর ধরে সামান্য বৃষ্টিতেই এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও পৌর কতৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা।
পাবনা পৌর এলাকা ঘুরে বাসিন্দাদের অভিযোগে জানা যায়, পৌরসভার বিভিন্ন পাড়ার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনেই এমনটি হয়েছে। এছাড়াও ড্রেনগুলোর মুখ ইছামতী নদীতে ছিল। বর্তমানে ইছামতি নদী দখল আর ময়লা আবর্জনা ফেলার কারনে নালার মুখগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত শহরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভাল না হওয়ার কারনেই এমনটি হচ্ছে। এতে পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও পাড়া-মহল্লা দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধ থাকছে।
গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে পাবনা শহরের মধ্য শহরের বড়বাজার, নিউমার্কেট, সোনাপট্রি, লোহপট্রিসহ শালগাড়িয়া, কালাচাঁদপাড়া, মাঠপাড়া, যুগিপাড়া, রাধানগর, চক ছাতিয়ানি, সরদার পাড়া, দোহার পাড়া, রাঘবপুর, মাসুম বাজারসহ ১৫টি ওয়াডের ১০টি ওয়ার্ড এলাকায় কমবেশী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ বলেন, বর্ষার মৌসুম এলেই আমাদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই এই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতারা আসে না। ফলে আমাদের বেচা কেনাও কম হয়। নিউ মার্কেটের সামনের রাস্তাটি পীচ ঢালা পথ না মাটির রাস্তা বুঝা মুশকিল।
শিবরামপুর মহল্লার কাপড় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা-ঘাট ডুবে যায়। আমরা আসলে শহরে না গ্রামে বাস করি ঠিক বুঝতে পারি না। এর চাইতে গ্রামও অনেক ভাল। চলাচল করতে অনেক কষ্ট করতে হয়।
এই বিষয়ে পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, 'এখানে আমার কি করণীয় থাকতে পারে। একদিকে সরকারী কোন বরাদ্দ নেই। অপরদিকে সারা দেশের ন্যায় পাবনায়ও ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার কারনেই এমনটি হয়েছে। তার পরেও আমি প্রত্যেকটা ওয়ার্ড কাউন্সিলদের বলেছি পানি প্রবাহের জায়গা এবং ড্রেন গুলো পরিষ্কার রাখতে যেন পানি দ্রুত বের হয়ে যায়।
এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে নানা পানিবাহিত রোগ। অনেক এলাকাতে চাপকল ডুবে যাওয়াতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই চরম দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি চায় পৌরবাসী।
বিডি প্রতিদিন/ ০৬ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান