লামায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে। তবে টানা ৭২ ঘন্টা স্থায়ী বন্যার পানি কমতেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বন্যার পানিতে ডুবে থাকা স্থানে জমে আছে পলি মাটি ও বিশাল ময়লা আবর্জনার স্তুপ। ময়লা আবর্জনার পঁচা গন্ধে ছড়াচ্ছে নানা রোগ। এদিকে পানি কমার পর থেকে ৩ দিন যাবৎ ময়লা পরিষ্কারে অভিযান পরিচালনা করছে লামা পৌরসভা। এই অভিযানে কোদাল হাতে শ্রমিকের পাশে থেকে কাজ করছে পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন বাদশাসহ অনেকে। ২৫-৩০ জন শ্রমিক, স্কেভেটর, ডাম্পার ও মিনি ট্রাক দিয়ে চলছে ময়লা পরিষ্কার অভিযান।
বন্যা কবলিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে লামা পৌর এলাকার নয়াপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, টিএন্ডটি পাড়া, বাজারপাড়া, লামা বাজার, চেয়ারম্যান পাড়ার একাংশ, ছোট নুনারবিলপাড়া, বড় নুনারবিলপাড়া, লাইনঝিরি, ফকিরপাড়া, হাজ্বীপাড়া, কলিঙ্গাবিলপাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টার সমূহ, থানা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই সব এলাকায় প্রচুর পলি মাটি ও ময়লা জমেছে।
বাজার এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুর আলম বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানি কমার পর পরই রাস্তাঘাট ও ময়লা পরিষ্কারে কাজে নেমেছে লামা পৌরসভা। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা নিজেরা পরিষ্কার অভিযানে যোগ দিয়েছে। তারা শ্রমিকের পাশে পাশে নিজেরা কাজ করছে। মেয়র জহির জনগণের বন্ধু তা আবারো প্রমাণ করল।
লামা পৌরসভার মেয়র বলেন মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বন্যার সময়ে ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া লোকজনকে সাধ্যমত খিঁচুড়ি, শুকনা খাবার, চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ও খাবার পানি সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে ময়লা আবর্জনা নতুন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ৩দিন যাবৎ পরিষ্কার অভিযান চলছে। শতভাগ ময়লা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া ফসলের মাঠ ডুবে কৃষকের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার