পটুযাখালীর কলাপাড়া কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুস সত্তার ফরাজী ও তার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড উপজেলার সাধারণ সম্পাদক, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবকে একটি চাঁদাবাজি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ মামলার খবরে মুক্তিযোদ্ধারা চরম উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজেও বিরাজ করছে প্রচন্ড ক্ষোভ। গত সোমবার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন লতাচাপলীর যুবদল নেতা মতিউর রহমান। এ মামলায় মুক্তিযোদ্ধা এ পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ আরো মোট নয় জনের নাম উল্লেখ করে ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ মামলার একদিন আগে জমি-জমার বিরোধের সঙ্গে অভিযুক্ত করে মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তখন চাঁদা দাবির কোন প্রসঙ্গ তোলেননি। মামলায় বলা হয়েছে, তার মাছের ঘেরে গিয়ে পহেলা জুলাই সদলবলে চাঁদা দাবি করে মারধর করে। আদায় করে নেয় টাকা-পয়সা।
বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সত্তার ফরাজি জানান, এই একই পরিবারের নেতৃত্বে চার দলীয় জোট সরকারের সময় তার ওপর হামলা নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়। সাইকেলের চেন দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। তখন ওই ঘটনায় মামলা করা হয়েছিল।
কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কলাপাড়া কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার বদিউর রহমান বন্টিন, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দায়েরকৃত এ মামলা থেকে মুক্তিযোদ্ধা সত্তার ফরাজি ও তার সন্তানকে অব্যহতি দেয়ার দাবি করেছেন। রানা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখন আবার ষড়যন্ত্র করে নতুন চক্রান্তে নেমেছে। যা প্রতিহত করা হবে।’ সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে চাঁদাবাজি মামলায় হয়রাণির নিন্দা জানিয়েছেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মেজবাহউদ্দিন মাননু। তিনি প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি করেছেন। সাংবাদিক সমাজেও বিরাজ করছে প্রচন্ড ক্ষোভ।
অপরদিকে এ মামলার তিন নম্বর আসামি আবুল কালাম ফরাজি জানান, মামলায় বর্ণিত যে মাছের ঘেরের কথা বলা হয়েছে, তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি। যা নিয়েও মামলা চলমান রয়েছে। মাছের ঘেরের মালিক তিনি। এ মামলার খবরে মুক্তিযোদ্ধারা চরম উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীরাও চরম উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞ আদালত পিবিআই পটুয়াখালীকে তদন্তপূর্বক ধার্য তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার