কুমিল্লা নগরীর ৬০ ভাগ সড়কের এখন বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় ধরে খানাখন্দে অতিবাহিত হলেও সেগুলো সংস্কার হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁনপুর বউবাজার হয়ে গোমতী নদীর আইল পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন কাজ না হওয়ার কারণে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্ত গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে কুয়ার মত তৈরি হয়ে আছে। এমন অবস্থায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ খুব একটা বাধ্য না হলে সড়কটি দিয়ে চলাচল করে না।
স্থানীয়রা জানান, কবে যে এ সড়কটি সংস্কার হয়েছিল তা কেউ জানেন না। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়- সড়ক সংস্কার হয় না। সম্ভবত আর কোনদিন হবেও না। এদিকে আলেখারচর থেকে কটকবাজার পর্যন্ত গোমতী বেড়ি বাঁধের উপর পিচ ঢালা সড়ক নির্মাণ শুরু করে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কাপ্তানবাজার পাকার মাথা এলাকা থেকে চাঁনপুর বেইলি ব্রিজ পর্যন্ত অংশটুকু কাজ বন্ধ হয়ে আছে। গত একমাস যাবত কাজ বন্ধ থাকায় ইটের খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলোতে পানি জমে সড়কটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নগরীর কালিয়াজুড়ি থেকে বদরপুর কোরের পাড় এবং কালিয়াজুড়ি শহীদ মিনার থেকে আড়াইওড়া ঈদগাহ পর্যন্ত সড়কটিরও একই অবস্থা। পিচ উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে এখন বৃষ্টির পানিতে টুইটুম্বুর। কালিয়াজুরি থেকে গোমতীর তীরবর্তী বদরপুর কোরের পাড় সড়কটিরও একই অবস্থা। বেহাল অবস্থায় রয়েছে কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে ফায়ার সার্ভিস অফিস হয়ে রানীর বাজার। করুণ অবস্থায় রয়েছে বাগিচাগাঁও, তালপুকুর পাড় হয়ে বাদুরতলা সড়কটির।
বাগিচাগাঁওয়ের মো. মহসীন ও নতুন চৌধুরী পাড়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, নগরীর ৬০ ভাগের বেশি সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রিকশা গাড়ি গর্তে পড়ে মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।
১০ নং ওয়ার্ডের সড়কের বেহাল দশা বিষয়ে ওর্য়াড কাউন্সিলর মঞ্জুর কাদের মনি জানান, সড়ক সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ দরকার, তা নিয়ে মেয়র সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই ১০ নং ওয়ার্ডের ভাঙাচোরা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
এ সব বিষয়ে সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নির্বাচনজনিত কারণে চলমান কাজগুলো সাময়িকভাবে ধীরগতির হয়ে যায়। নগরীর সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার