ঝালকাঠি সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কার্যক্রম শেষে অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ায় ভাতাভুক্ত দু’জনকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন, সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামের মৃত. জেলাল উদ্দিন বেপারীর ছেলে মৃত. আব্দুল রব বেপারী ও নেহালপুর গ্রামের মৃত. সৈয়দ আলী দুয়ারির ছেলে মো. সুলতান আহম্মেদ দুয়ারি। এই দু’জনের সনদ ও ভাতা বাতিল করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, বাউকাঠি মৃত. আব্দুল রব বেপারী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালিন সময় স্বাধীনতা বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি একজন অমুক্তিযোদ্ধা। সদর উপজেলার বেতরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শিশু কুমারসহ ওই এলাকার নয়জন মুক্তিযোদ্ধা মৃত. আব্দুল রব বেপারী বিরুদ্ধে যাচাই-বাচাই কমিটির কাছে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। যাচাই-বাচাই কমিটি স্বাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে মৃত. আব্দুল রব বেপারীকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনাক্ত করে। অন্যদিকে, পিপলিতা গ্রামের মৃত. সৈজদ্দিনের ছেলে সুলতান হোসেন তার পিতার নাম পরিবর্তন করে সৈজদ্দিনের স্থানে সৈয়দ আলী দুয়ারি করেছে। কিন্তু মো. সুলতান আহম্মেদ দুয়ারি জালিয়াতির মাধ্যমে তার নাম সুলতান হোসেন এবং গ্রাম নেহালপুর হওয়া সত্ত্বে গ্রাম পিপলিতা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অন্যের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত সকল সুবিধা ভোগ করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির কাছে এই জালিয়াতির ব্যপারে অভিযোগ করা হলে স্বক্ষ্য প্রমাণ ও তদন্ত শেষে মো. সুলতান আহম্মেদ দুয়ারিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনাক্ত করা হয়। একই সাথে তার সনদ ও ভাতা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এব্যাপারে ঝালকাঠি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির সদস্য এম আলাউদ্দিন খান বলেন,‘ এই দুইজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হওয়ায় আমরা এদের ভাতা ও সনদ বাতিলের জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার