বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করছে স্থানীয় প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুব্রত কুমার দে জানান, সমুদ্রে তিন নম্বর সংকেত থাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় বুধবার থেকে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট-তমরদ্দি-চরচেঙ্গা ও চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা রুটের দুটি সরকারি সি-ট্রাকসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপ উপজেলায় যাতায়তের জন্য বিআইডব্লিউটিসির চরচেঙ্গা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ ও চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা রুটে শেখ ফজলুল হক মনি নামের দুটি সি-ট্রাক রয়েছে। প্রতিটি সি-ট্রাকের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৩০০ জন। প্রতিদিন দুইবার ঘাট থেকে ছেড়ে যায় সি-ট্রাক দুটি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বুধবার সকাল থেকে সি-ট্রাক দুটি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে দুইপাড়ে আটকে পড়েছে যাত্রীরা।
এদিকে সকাল থেকে টানা বর্ষণে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও আবাসিক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় সুপারের কার্যালয় ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ভেতরে পানি জমে আছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের বাংলো ও পুলিশ সুপারের বাংলো এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে ও বাসার সামনে একহাটু পানি জমে আছে। নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজদী হাউজিং এষ্ট্রেট, সরকারি আবাসিক এলাকা, মাষ্টার পাড়া, ল’ইয়ার্স কলোনী, হরিনারায়নপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধাতার কারণে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম-সেবা জানান, পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা এলেই সার্কিট হাউজ সড়কসহ পাশের বাসাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের উপর দিয়ে যাওয়া খালের পানি প্রবাহ সচল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারের মধ্য দিয়ে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে মত দেন তিনি। নোয়াখালীর পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল জানান, শহরের জলাবদ্ধা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। অচিরেই খালগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/২১ জুলাই ২০১৭/হিমেল