দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের মাসুদা বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যা নাকি সে আত্মহত্যা করেছে- এ নিয়ে ব্যাপক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গৃহবধূ মাসুদা বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে থেকে গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন।
চিরিরবন্দর থানা সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের উত্তর পলাশবাড়ী ফকির পাড়ার গ্রামের মো. মুছা এর মেয়ে মাসুদা বেগমের(২২) ৪ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের চকগোবিন্দ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে জিয়াবুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই দম্পতির একটি ২ বছরের সন্তান রয়েছে।
চিরিরবন্দর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আতোয়ার জানান, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে গৃহবধূর মরদেহ ঢাকা থেকে আনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ওই গৃহবধূর স্বামী জিয়াবুল ইসলামের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ পৌঁছানোর সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ির পুরুষরা পালিয়ে যায়। এরপর মরদেহের সুরতহাল করে থানায় নিয়ে আনা হয়। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও নিহতের স্বামী জিয়াবুলসহ পরিবারের লোকজনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেসুল ইসলাম জানান, স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ঢাকা আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে গার্মেন্টেস এ চাকরি করত। মরদেহটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। শুক্রবার রাতেই থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার