বান্দরবানের লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মধুঝিরি এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের ক্রয়সূত্রে ভূমি মালিকদেরকে অন্যায়ভাবে জমিচ্যুৎ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে লামা সনাতনী সমাজ ও মধুঝিরির সর্বস্তরের জনসাধারণ।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় লামা উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে লামা প্রেস ক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে লামার সকল ধর্ম ও বর্ণের প্রায় ৩ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, ফাতেমা পারুল, সনাতনী নেতা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য, বিজয় কান্তি আইচ, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক কামরুজ্জামান, মো. ইব্রাহিম, মহিউদ্দিন, ওসমান গণি বাবুল, ভুক্তভোগী অচ্যু কুমার দাশ, মিন্টু দাশ সহ প্রমূখ।
ভুক্তভোগী মিন্টু দাশ ও অচ্যু কুমার দাশ বলেন, আমরা লামা পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা কয়েকজন ব্যবসায়ী যুবক স্বস্ব আবাসন গড়ার লক্ষ্যে ২৯৩ নং ছাগল খাইয়া মৌজাস্থ্য ৬৯ নং খতিয়ানের ৮৩৯, ৮৪০, ও ৮৫৮ সহ অন্যান্য দাগাদির আন্দর ৫০ শতাংশ প্রথম শ্রেনির জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হই। মালিকগন যথাক্রমে মিন্টু দাস, চন্দন কান্তি দাস, পুলক কান্তি দাস, মিটন কান্তি দাস, রুবেল কান্তি দাস, পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, উলমে সালমা হ্যাপি, লিটন দাস, অরুণ রুদ্র ও ছবি কর্মকার সহ আরো কয়েক জন।
আমরা সেখানে কিছ অংশে পাকা অবকাঠামো নির্মাণ করে দখলরত আছি। দু:খ ও পরিতাপের বিষয় আমাদের প্রতিবেশি সাবেক ব্যাংকার জনাব ইছহাক চৌধুরী আমাদের ভূমিটির প্রতি লোলপ দৃষ্টি দেয়। ভূমির বর্তমান বাজার মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ইছহাক চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজনের দস্যুসূলব আচরণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সে বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস দিয়ে আমাদের জমি দখলের পায়তারা চালায়।
লামা সনাতনী সমাজের নেতা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য, মিন্টু কুমার সেন (ইউপি চেয়ারম্যান) ও বিজয় কান্তি আইচ বলেন, ৩ আগষ্ট সকালে ইছহাক চৌধুরী ও তার পরিবারে লোকজন বিশেষ করে তার ছেলে টিটু ও বিটু দারালো অস্ত্রধারণ করে নির্মান সামগ্রী নিয়ে আমাদের নামীয় ও দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মানের অতর্কিত অপচেষ্টা চালায়। তাদের এহেন উগ্র ও অন্যায় দস্যুপরায়নতায় বাঁধা প্রদান করার চেষ্টা কালে তারা আমাদের সনাতন লোকজনের উপর হামলায় চালায় ও ভূমির ৪ জন অংশিদার আহত হয়ে লামা হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উগ্রতা ও সন্ত্রাসী আচরণ নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইছহাক চৌধুরী কে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী সনাতন ধর্মের লোকজন থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ পাঠিয়ে আমরা তৎক্ষণাত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে সনাতনী লোকজন থানায় অভিহিত করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৪ আগস্ট, ২০১৭/ তাফসীর