বরিশালে বিদ্যুতের লোড শেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতীয় গ্রীড থেকে সরবরাহ না পাওয়ায় বরিশালে ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্টিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপাডিকো) আওতাধীন ফিডারগুলোতে প্রতি একঘন্টা পর পর লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ফিডারের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি ঘন্টায় লোড শেডিং বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের অবস্থা আরও শোচনীয়। দিনের মধ্যে ৪ থেকে ৫ ঘটনার বেশী বিদ্যুত পান না তারা। বিদ্যুত বিভাগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় পাওয়ার ষ্টেশনগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
ওজোপাডিকো বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমূল্য কুমার সরকার বলেন, কয়েকদিন আগে সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং ছিল বেশী। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ফের বিপর্যয় ঘটে। নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, গৌরনদীতে নির্মানাধীন একটি ভবনের রড জাতীয় গ্রীড লাইনের ক্যাবল স্পর্শ করলে ভোলা, বরিশাল গ্যাস টারবাইন ও সামিট উৎপাদন কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ তিনটি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বেলা ১টার দিকে তিনটি কেন্দ্রে পূনরায় উৎপাদন শুরু হলেও বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফের গৌরনদীতে জাতীয় গ্রীড সরবরাহ লাইনের ওপর গাছ উপরে পড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা গেলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
বরিশাল গ্রীড ষ্টেশন সূত্র জানায়, পিক আওয়ারে (সন্ধা ৬টা থেকে রাত ১২টা) বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১২০ মেগাওয়াট। কিন্ত জাতীয় গ্রীড থেকে ৭০ মেগাওয়াটের বেশী পাওয়া যাচ্ছেনা। দিনের বেলায়ও (অফ পিকআওয়ার) চাহিদা অনুযায়ী বিদুৎ পাওয়া যায়নি। ফলে সবগুলো ফিডারে একঘন্টা পর পর লোডশেডিং হচ্ছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকাগুলোতে দিন-রাত মিলিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘন্টার বেশী বিদ্যুত পাওয়া যায়। বাকী প্রায় ১৮ ঘন্টা বিদ্যুত বিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে ওই সব এলাকার মানুষের।
বিডি-প্রতিদিন/ ৪ আগস্ট, ২০১৭/ তাফসীর