ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এক গৃহবধূকে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন খোকন মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। এঘটনায় খোকন মোল্লার বিরুদ্ধে গত ২৫ জুলাই ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। সেই মামলায় আসামি খোকন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ মে মহেশপুর উপজেলার নাটিমা মোল্লা পাড়ার খোকন মোল্লা একই গ্রামের গৃহবধূকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। এরপর ঢাকার মিরপুর মাজার রোড এলাকার একটি বাসায় গিয়ে ওঠেন তাঁরা।
এরপর থেকে খোকন মোল্লা ওই গৃহবধূকে নিয়মিত ধর্ষণ করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে রাখে। গত ৩ জুন সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ কৌশলে ওই বাসা থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন।
খোকন মোল্লাও পরের দিন বাড়িতে ফিরে আসেন এবং গৃহবধূকে হুমকি দিতে থাকেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। এই ঘটনায় এলাকায় সালিশ বসিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন খোকন। কিন্তু গৃহবধূ তা মানেননি। কিছুদিন পর খোকন ওই গৃহবধূর ভিডিও বিভিন্ন লোকজনের কাছে সরবরাহ করেন। ওই ভিডিও এখন ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এবং এলাকার লোকজনের মুঠোফোনে দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মেদ কবির জানান, আদালত থেকে মামলার নথি পাওয়ার পরে গত বুধবার মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ধর্ষণ মামলাটি আদালত থেকে মহেশপুর কৃষি অফিসারের নিকট তদন্ত দিয়েছে। সেটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। আমরা খোকন মোল্লাকে পর্নোগ্রোফি মামলায় গ্রেফতার করেছি।
বিডি প্রতিদিন/৫ আগস্ট ২০১৭/হিমেল