উন্নত চিকিৎসার জন্য বীর প্রতীক তারামন বিবিকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল(সিএমএইচ) থেকে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শুক্রবার বেলা ১২টায় রংপুর সিএমএইচ ভর্তি হন তারামন বিবি
শনিবার বেলা আড়াইটায় সামরিক হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয় বলে রংপুর সিএমএইচের চিকিৎসক লে.কর্ণেল মাকসুদুর রসুল জানান। তার তত্ত্বাবধানেই রংপুর সিএমএইচের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা হচ্ছিল তারামন বিবির।
রংপুর সিএমএইচ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের জানান, ‘আমার মা সিএমএইচের চিকিৎসক লে. কর্ণেল মাকসুদুর রসুলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। মায়ের চিকিৎসা নিয়ে সকালে চিকিৎসকরা তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য মাকে ঢাকা সিএমএইচে পাঠানোর কথা আমাকে জানান। তারামন বিবির সঙ্গে রয়েছেন ছেলে আবু তাহের।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হরিপদ সরকার সকালে রংপুর সিএমএইচে তারামন বিবিকে দেখতে যান। তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি হার্টেরও সমস্যা রয়েছে তার। ভিআইপি প্যাসেন্ট তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসক বোর্ড।
বীর প্রতীক তারামন বিবির বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারিপাড়ার শংকর মাধবপুর গ্রামে। কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে ১১ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার আবু তাহেরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারামন বিবি। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্তানিদের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে সম্মুখ যুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তারামনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। কিন্তু এই মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয় ১৯৯৫ সালে। ওইবছর ১৯ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ৮ জুলাই, ২০১৭/ তাফসীর