ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়ায় তিন কনস্টেবলের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।মামলার আসামিরা হলেন, কনস্টেবল নাসিমা খাতুন, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, ২০১৩ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দামুড়হুদা উপজেলার বড় বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা খাতুন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দেখিয়ে পুলিশের কনস্টেবলে চাকরি নেয়।
এরপর ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসানন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র জমা দিয়ে কনস্টেবল পদে চাকরি নেয়। বর্তমানে তারা তিনজন বিভিন্ন জেলায় কর্মরত আছেন। তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি গ্রহণের অভিযোগ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের পক্ষ থেকে গোপনে তদন্ত করা হয়।
তদন্তে ভুয়া সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসার এসআই শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে জাল সনদ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ওসি আরও জানান, মামলার আসামি নাসিমা খাতুন, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতারের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৫ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত