শিরোনাম
- জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
- চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
- মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০
- বরিশালের তিন অসহায় নারীর স্বামীকে রিকশা বিতরণ
- নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
- রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
- প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
- ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
- গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
- ‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
- তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
- একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
বাগমারায় ‘বাংলাভাই স্টাইলে’ পল্লী চিকিৎসককে তুলে নিয়ে নির্যাতন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর বাগমারায় ‘বাংলাভাই স্টাইলে’ আবদুস সালাম (৪০) নামের এক পল্লী চিকিৎসককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার তালতলি বাজারে নিজের ওষুধের দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে নির্যাতন করা হয়।
খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সালামকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ। নির্যাতনের শিকার আবদুস সালামের বাড়ি ওই ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামে। তালতালি বাজারে তার ওষুধের দোকান আছে।
২০০৪ সালে বাগমারায় জেএমবির শীর্ষ নেতা বাংলাভাই একই কায়দায় লোকজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও চাঁদা আদায় করতো। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করতো বাংলাভাই। একই কায়দায় পল্লী চিকিৎসককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম হোসেন জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে আবদুস সালাম তার ওষুধের দোকানে ছিলেন। এ সময় দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে পাঁচজন ব্যক্তি তার দোকানে যায়। যাদের মধ্যে একজন গ্রাম পুলিশের পোষাক পরা ছিল। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলী মোল্লার উপস্থিতিতে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে আবদুস সালামকে পিটিয়ে জখম করে এবং টেনে হিঁচড়ে বের করে। এসময় দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে আবদুস সালামকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় তারা।
আহত আবদুস সালাম বলেন, ‘কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমার দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এসময় তারা দোকানে ভাঙচুর চালায় এবং ক্যাশ বাক্স থেকে ১০ হাজার টাকা লুট করে। এরপর তারা আমাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের সামনে তারা আমাকে নির্যাতন করে। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’
ইউপি সদস্য আবেদ আলী জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রামরামার আরঙ্গবাদ গ্রামের শফিকুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। যা নোটিশ দিয়ে আবদুস সালামকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় চেয়ারম্যান একজন গ্রাম পুলিশসহ ৪-৫ জন লোক পাঠিয়ে ছিল সালামকে ডেকে নিয়ে যেতে। তবে সে স্বেচ্ছায় যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। তবে আবদুস সালামকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন আবেদ আলী।
ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার জানান, নোটিশ পাওয়ার পরেও ইউনিয়ন পরিষদে হাজির না হওয়ায় তাকে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তুলে আনা হয়। এরপর ইউপি কার্যালয়ে গ্রাম্য আদালতে সালিশ চলাকালীন পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। আবদুস সালামকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে আহত অবস্থায় আবদুস সালামকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশ সালামের ওষুধের দোকান পরিদর্শন করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী নেয়। তাতে সালামের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিডি প্রতিদিন/৫ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর