বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৃহবধূ আছমা বেগমকে (৩২) ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসায় ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনির মোল্লার বিরুদ্ধে। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় তাকে হত্যার অভিযোগে নিহতের ভাই আনোয়ার খান বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার বাকাল গ্রামের দরিদ্র আলমগীর খানের মেয়ে আছমার সাথে প্রায় এক যুগ আগে একই উপজেলার রাজিহারের বসুন্ডা গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন মোল্লার ছেলে মনির মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর থেকে তারা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বসবাস করে আসছে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। মনির যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় আছমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত। তাদের অভিযোগ, মনির একজন পেশাদার চোর। সম্প্রতি মাদারীপুরের কালকিনিতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে গণধোলাইর শিকার হয়ে জনতা তার চোখ উপড়ে দেয়। চিকিৎসায় একটি চোখ ভাল হয়। এরপর মনির আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। যৌতুকের দাবিকৃত টাকার জন্য আছমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুপুরে আছমার ভাই আনোয়ারের উপস্থিতিতে যৌতুকের টাকার জন্য আছমার সাথে মনিরের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আছমাকে মারধর করে পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় মনির। আশংকাজনক অবস্থায় আছমাকে দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকার দক্ষিনণ কেরানিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আতিক উজ্জামান জানান, নিহত আছমার ভাই আনোয়ার খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘাতক মনিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার