উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় পরিচালিত মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠাকুরগাঁও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক পারভেজ আখতারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকারের এই প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে পারে বলে আশংকা করছে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ও জনপ্রতিনিধিরা।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় ৬৪ জেলায় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় দায়িত্ব পেয়েছেন এসকেএস নামে একটি বে-সরকারি সংগঠন। নির্দেশনা রয়েছে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করবেন। এই কমিটির অনুমোদিত জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন যা তদারকিও করবেন ওই কমিটি। অভিযোগ উঠেছে, নিয়মের তোয়াক্কা না করে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক এনজিও পরিচালককে হাত করে জনবল নিয়োগে ইতোমধ্যে অনেক জনের কাছে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। কাগজে কলমে কমিটি তৈরি করা হলেও কোন মিটিং ছাড়াই জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লোকজন এলাকায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকট সুপারিশ আনতে গেলে তারা তোপের মুখে পরেন। কাজে অনিয়ম করায় সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ চেয়ারম্যান সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
সদর উপজেলার আকচাঁ, সুখানপুখুরি ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন, আনিসুর রহমান, সোহাগসহ বেশিরভাগ চেয়ারম্যানগণ জানান, কাজ শুরু না হতেই যদি বাণিজ্য শুরু হয়, তাহলে প্রকল্প বাস্তবায়ন তো দূরের কথা সরকারের প্রকল্প কাগজে কলমে হবে বাস্তবে নয়। আমরা আশা করব এই সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যথায় প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে পারে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার আগে মিটিং করার প্রয়োজন ছিল। তা না করে চেয়ারম্যানদের নিকট গিয়ে সুপারিশ নেয়া এটা ঠিক হয় নি। আর এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেন নি জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক পারভেজ আখতার।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক পারভেজ আখতার খান জানান, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তাহলে উনার মনে নেই। তবে মিটিং দ্রুত দেয়া হবে। আর এখানে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার