ঢাকা থেকে চট্রগামের দিকে কোন যানবাহন নিয়ে ঢাকা ছাড়লেই জটে পড়ছেন তারা। ঈদ আসতে না আসতেই শুরু হয়েছে দীর্ঘ যানবাহনের সারি। যতদূর চোখ যায় শুধুই যানবাহন আর যানবাহন। এ যেন যানজটের পুরী। গেল বেশ কয়েকদিন যাবৎ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চরম আকারে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে প্রতিদিনের ন্যায় আজ থেকে ধীর গতিতে চলতে দেখা গেছে যানবাহন। গজারিয়ার মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। ঢাকা মুখে একেকটি যানবাহনকে ওই ১৩ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই রুটে যানজটের অন্যতম প্রধান কারন স্কেল এবং সেতুর টোল আদায়। পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের সময় অতিরিক্ত পণ্য নিলে স্কেল কতৃপক্ষ ট্রাক মহাসড়কে থামিয়ে রেখে বাড়তি টাকা আদায় করে কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যায় লাভের আশায় দীর্ঘক্ষণ দর কশাকশিতে দীর্ঘ সমায় পার করে। এতে জটলার সৃষ্টি হয় বলেও এই রুটে চলাচলরত যাত্রীসাধারণের দাবি।
মুন্সীগঞ্জের ভবের চর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, ঈদ সামনে রেখে বুধবার দিবা গতরাত থেকেই ঢাকামুখে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ শুরু হয়। এরপর থেকে গজারিয়া অংশের ওই ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হতে থাকে। এতে তীব্র যানজটনা থাকলেও যানবাহন গুলো খানিকটা ধীর গতিতে চলাচল করছে। ফলে ঢাকামুখে গন্তব্যে পৌছতে যানবাহন গুলোকে অনেক বেশি সময় লাগছে। এসব যানবাহনের মধ্যে কাভার ভ্যান, পন্যবাহি ট্রাকের সংখ্যা বেশি। গত চার দিন যাবত গাড়ির ধীর গতি দেখা দিয়েছে যা এখনও বিদ্যমান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার